অর্থপাচারের মামলায় আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান সোমবার দুপুরে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডি জানায়, ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে, এবং তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ এবং সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মামলা দায়ের করেছিল, যেখানে ১৩৩ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এছাড়া, সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সাদিক অ্যাগ্রো চোরাচালান ও জালিয়াতির মাধ্যমে নেপাল ও ভুটান থেকে ছোট আকৃতির গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি করেছে। এছাড়াও, প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু ও ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় গরু-ছাগল হিসেবে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করা হয়েছে।
সাভার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জবাই করে ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রির কথা থাকলেও, সাদিক অ্যাগ্রো জালিয়াতির মাধ্যমে এসব গরু কাগজে জবাই দেখিয়ে গোপনে বিক্রি করেছে।
এছাড়াও, সাদিক অ্যাগ্রো মোহাম্মাদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় সরকারি খাল দখল ও ভরাট করে অবৈধভাবে জমি অধিকার করেছে। ইমরান হোসেনের মালিকানাধীন জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে তা রূপান্তরিত করা হয়, যার মোট পরিমাণ ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা।
Post a Comment